মো. রানা সন্যামত:
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কারখানা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে পশ্চিম কাছিপাড়া ও বাহেরচর লঞ্চঘাট এলাকার আবাদি জমি, ঘরবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙ্গনের প্রতিরোধে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। আজ সোমবার স্থানীয় সাধারণ জনগণ, নদী ভাঙনে বাহেরচর লঞ্চঘাট, পশ্চিম কাছিপাড়া, কারখানা ও বাহেরচর লঞ্চঘাট নদীর পাড়ে শত শত মানুষ মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ বাইনা জাকির শিকদার, জলিল খন্দকার,কবির শিকদার, মনির শিকদার,মোশারফ শিকদার। বর্ষা মৌসুমে রাক্ষুসে কারখানা নদীতে প্রায় শত শত একর আবাদি জমি, আকনবাড়ি, শিকদার বাড়ি খানবাড়িসহ অর্ধশত ভিটেবাড়ি, ঈদগাহ মাঠ, বৈদ্যুতিক খুঁটি, বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় ২০ বছর ধরে ভাঙছে ওই নদীর তীরবর্তী কারখানা, পশ্চিম কাছিপাড়া ও বাহেরচর লঞ্চঘাট এলাকা।
কাছিপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম হাওলাদার (মেম্বার) বলেন, কারখানা নদীর অব্যাহত ভাঙনে এই গ্রামের দুই-তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পাঁচ শতাধিক পরিবার সব হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। অনেক অসহায় পরিবার এলাকা ছেড়েছে। দুই শতাধিক পরিবার কারখানার চরে ঘর তুলে বসবাস শুরু করছে বাহেরচর গ্রামের অসংখ্য পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘর বাড়ি করে বসবাস করেন। তিনি আরও বলেন, চর রঘুনাদ্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রায় নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। কাছিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘আগুনে পুড়লে জমি থাকে। কিন্তু নদীর ভাঙনে কিছুই থাকে না। ভাঙনের কবলে পড়ে কারখানা, পশ্চিম কাছিপাড়া ও বাহেরচর লঞ্চঘাট এলাকার কত পরিবার যে নিঃস্ব হয়ে গেছে, তার হিসাব নেই।’ তিনি ভাঙন রোধে টেকসই ভাঙন রক্ষা প্রকল্প গ্রহণের দাবি জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পটুয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের নদীপ্রধান দেশ। প্রাকৃতিকভাবেই এক পাড় ভাঙবে, আরেক পাড় গড়বে (চর জাগবে)। এটা একটা স্বাভাবিক নিয়ম। সরকার ভাঙন রোধে ব্যাপক কাজ করছে। বাউফলেও কাজ হচ্ছে। তবে খুব শিগগির ওই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।